নাটোরের সিংড়া উপজেলায় শাশুড়ির কানের দুল চুরি করে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এক জামাতা ফেঁসে গেছেন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার বেলোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জামাতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিংড়া থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে তাঁর দুই প্রতিবেশীর বিরোধ ছিল। তাঁদের শায়েস্তা করার জন্য তিনি আদালতে দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিংড়া থানা-পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি।
এ ঘটনার পর জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে নতুন ফন্দি করেন। আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে গত বুধবার রাতে শাশুড়ি লাইলি বেগমের বাড়িতে চুরি করতে যান। এ সময় সহযোগীরা ওই বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা জাহাঙ্গীরের মেয়ের গলার অলংকার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর মেয়ে চিৎকার দেয়। তখন তাঁরা তড়িঘড়ি করে লাইলি বেগমের কান থেকে দুল ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যান। পরের দিন লাইলি বেগম বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরসহ বাড়ির অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় গিয়ে এই ঘটনার জন্য তিনি তাঁর দুই প্রতিবেশী নকুল ও সুশীলকে অভিযুক্ত করে জবানবন্দি দেন। পরে গতকাল রাতে জাহাঙ্গীর স্বীকার করেন দুই প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য তিনি শাশুড়ির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটান। ঘটনাটি জানার পর লাইলি বেগম তাঁর জামাতা জাহাঙ্গীরসহ দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনাটি শুরু থেকে তাঁদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। তাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি চুরি করার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।