টাঙ্গাইলের মধুপুরে শতবর্ষী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ঘটা এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মামলা হয়। মামলার পরে এক কিশোরকে (১৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধার জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া ওই কিশোরের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে আজ। জবানবন্দি দেওয়ার সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল বলেন, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধাকে একা পেয়ে ওই কিশোর ধর্ষণ করে। পরে ওই বৃদ্ধার ছেলে বাড়ি ফিরলে তিনি ছেলেকে ঘটনাটি জানান। তবে লোকলজ্জার ভয়ে বৃদ্ধার ছেলে প্রথমে বিষয়টি নিয়ে মামলা না করে ওই কিশোরের বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে মধুপুর থানা-পুলিশের নজরে পড়ে। পরে পুলিশ খোঁজ-খবর নিয়ে গতকাল বুধবার ওই বৃদ্ধার বাড়ি হাজির হয়। এরপর গতকাল রাতে ওই বৃদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ওই বৃদ্ধার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই বৃদ্ধার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য তাঁকে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নওরিন মাহবুব বৃদ্ধার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। অন্যদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ধর্ষণের স্বীকার করে। তাকেও আজ দুপুরে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে ধর্ষণে সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমন কুমার কর্মকার ওই কিশোরের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।