লিবিয়ায় ৩০ জন অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অন্য চারজন আফ্রিকান অভিবাসী।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লিবিয়ার মানব পাচারকারী এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ওই ৩০ অভিবাসীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। ওই পাচারকারী আগেই মারা গেছেন। সেই মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছে তার স্বজনেরা। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, লিবিয়ার মিজদা শহরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিতে আহত হন ১১ জন। তাদের জিনতান হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, গুলিতে নিহত ৩০ অভিবাসীর মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। অন্য চারজন আফ্রিকান।
গাদ্দাফি পরবর্তী গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত লিবিয়ার অর্থনীতি তেলনির্ভর । কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণেরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়। একপর্যায়ে তাদের বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়া। এশিয়া–আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি— পুরো রুটে মানব পাচারকারী বিশাল চক্র সক্রিয় রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা এমসেহলি বলেন, ‘নৃশংস এ ঘটনার খবর আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’