বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারে দুটি এয়ারলাইনসের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
লিবিয়ার মিজদাহতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে ছয়জনের ব্যাপারে সিআইডির অনুরোধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।
এ সম্পর্কে জানাতে সিআইডি সংস্থাটির মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান মাহবুবুর রহমান এ কথা জানান। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই দুটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাঁদের কিছু কর্মী মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছেন।
চলতি বছরের মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহতে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে পল্টন ও বনানীতে তিনটি মামলা করে। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৩টি মামলা হয়। সিআইডি মোট ২৫টি মামলার তদন্ত করছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন ২৯৯ জন, গ্রেপ্তার আছেন ১৭১ জন, ৪২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও সিআইডির প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত ২৬ বাংলাদেশি প্রতারণার শিকার হন। তাঁরা ভ্রমণ ভিসা ও কনফারেন্স ভিসায় দেশ ছাড়েন। এ ধরনের ভিসায় যাঁরা যান, তাঁরা ফিরতি টিকিট কাটেন।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের টিকিট ছিল ‘ওয়ানওয়ে’। এ ধরনের টিকিট ইস্যু করা হয় যাঁরা লম্বা সময়ের জন্য কোনো দেশে অবস্থান করেন, তাঁদের।
‘ওয়ানওয়ে’ টিকিটে দেশ ছাড়ার বিষয়টি বিমানবন্দরে কর্মরত পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তাদের চোখ এড়াল কী করে? জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান বলেন, অভিবাসন পুলিশকে তাঁরা ভুয়া ফিরতি টিকিট দেখিয়েছিলেন।
ইন্টারপোল যে ছয়জনের ব্যাপারে রেড নোটিশ জারি করেছে তাঁদের একজন তানজিমুলকে ইতালিতে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ করা হচ্ছে। সিআইডি দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁদের বিচার করতে চায় বলে জানিয়েছেন মাহবুবুর রহমান।