লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পাটগ্রাম থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪৮) ও একই গ্রামের মো. সুজন মিয়া (২১)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, বুড়িমারীতে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নয়জনকে দুই দফায় তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আর তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। ঘটনার ভিডিও চিত্র বিশ্লেষণ করে ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। শহীদুন্নবী রংপুর শহরের শালবন রোকেয়া সরণি এলাকার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক।