লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে। কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। ওয়ার্কশপের আড়ালে কারখানার একটি কক্ষে অস্ত্র তৈরি করা হতো বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ঘটনায় তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি এলজিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার ভোররাত চারটায় শুরুতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযান চলে সকাল আটটা পর্যন্ত।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. বাবলু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৫৬)। তাঁরা দুজনেই বয়ারচরের বাসিন্দা।
অভিযানের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১–এর স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব-১১ সিপিএসসি নারায়ণগঞ্জ ও সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর প্রথমে হাতিয়ার বয়ারচরে অভিযান চালায়। এ সময় পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বাবুল ও আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার রামগতি বাজারে রায়হান ওয়ার্কশপে অভিযান চালানো হয়। ওয়ার্কশপের একটি কক্ষ অস্ত্র তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ওই কক্ষ থেকে একটি একনলা বন্দুকের গুলিসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রামগতি বাজারে রায়হানের ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ওই অস্ত্রগুলো চরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে বিক্রি করা হতো। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।