মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন দালাল চক্রের সদস্য, অন্যজন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা কার্যালয়ের অফিস সহকারী।
ইসির এই অফিস সহকারীর নাম জয়নাল আবেদীন। তদন্তের স্বার্থে দুই দালালের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আজ সোমবার বিকেলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে লাকী নামের একজন রোহিঙ্গা নারী স্মার্টকার্ড আনতে গেলে সার্ভার থেকে জানা যায়, তাঁর এনআইডি সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি রোহিঙ্গা। এরপর তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর সার্ভারে আরও ৪৬ জনের অসম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, যাঁদের রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ইসি সচিবালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘৪৬ জন ব্যক্তির দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ। কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঠিকমতো নেই, কারও ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। তদন্ত কমিটি বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছে। তদন্ত কমিটি এখনো কাজ করছে। এ ছাড়া আমরা একটি বিশেষ কমিটি করেছি। সেই কমিটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা চক্রের দুজন দালালের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া আমাদের একজন অফিস সহকারী এর সঙ্গে জড়িত আছে।’
এ সময় ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চক্রের সঙ্গে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদীন জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি এবং বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও কেউ এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সেটাও আমরা দেখছি।’