সিরাজগঞ্জের তাড়াশের রুপা খাতুনকে টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে তাড়াশ প্রেসক্লাব হলরুমে তাড়াশের সচেতন নাগরিক সমাজ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছে। গত সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আসামিদের স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে মিথ্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের।
সংবাদ সম্মেলনে রুপার মামা শফিউল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিদের স্বজনেরা সংবাদ সম্মেলনের নামে মিথ্যাচার করেছেন। তারা কাল্পনিক কাহিনি তৈরি করে মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। যখন সরকারের সদিচ্ছায় এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আত্মস্বীকৃত পাঁচ আসামির স্বজনেরা নির্লজ্জভাবে তাদের বাঁচানোর হীন প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা বলেছেন, রুপা ছোঁয়া পরিবহনে নয়, মুক্তা পরিবহনে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন। এমন তথ্য উপস্থাপন আর আসামিদের স্বজনদের ধৃষ্টতা দেশবাসীকে বিক্ষুব্ধ করেছে। আমরা ওই সংবাদ সম্মেলন ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শফিউল হক আরও বলেন, ‘রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ডিএনএ প্রতিবেদন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পাঁচ আসামির আদালতে দেওয়া হত্যা ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তির পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপরও এমন লজ্জাজনক সংবাদ সম্মেলনের নামে পাঁচ আসামির পক্ষ নেওয়া দেশবাসীকে মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক সমাজের আবদুর রাজ্জাক রাজু, মেহেরুল ইসলাম, রুপার বড়ভাই ও মামলার বাদী মো. হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।