রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় এক কলেজছাত্রকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরখানের খ্রিষ্টানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম মো. সোহাগ (২০)। উত্তরা কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। উত্তরখানে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় তিনি গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় ভগ্নিপতি ওমর ফারুকের শুঁটকির ব্যবসায় সহায়তা করতেন।
উত্তরখান থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খ্রিষ্টানপাড়া এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি চলন্ত রিকশার চাকা থেকে কাদা ছিটকে পাশের এক যুবকের গায়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেই যুবক ও তার সঙ্গীরা রিকশাচালককে গালাগাল ও মারধর করে। এর প্রতিবাদ করেন সোহাগ। এতে তারা সোহাগকে গালাগাল করতে করতে এগিয়ে আসে। এদের একজন সোহাগের নাভির নিচে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উত্তরার নর্দান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ শুক্রবার বিকেলে খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
নিহতের বড় ভাই উত্তরখানের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ এ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবু, শাহিন, রায়হান ও সাব্বির নামে চারজনকে আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে। জড়িতদের বয়স ২২ থেকে ২৬ বছর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তারা কোনো কিশোর গ্যাং এর সদস্য এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শিগগিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।