রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রকে ‘র্যাগিং’য়ের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত সাইদুর রহমান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাসুম শিকদারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন। মাসুম শিকদার বলছেন, তাঁদের দুজনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তবে এটি র্যাগিং নিয়ে নয়।
সাইদুর রহমানের ভাষ্য, গতকাল বিকেলে মাসুম শিকদার সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে তাঁর ভর্তি-ইচ্ছুক আত্মীয় আনিস তালুকদারকে ‘র্যাগ’ দেন। এ সময় তিনি সেখানে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এতে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। মাসুম একপর্যায়ে তাঁকে গালাগালি করে হাতে চাবির রিং নিয়ে সাইদুরের কপালে তিনটি ঘুষি মারেন। এতে তাঁর কপাল কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়।
আহত সাইদুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনাটি প্রক্টর মো. লুৎফর রহমানকে জানালেও তিনি আসেননি। কোনো ব্যবস্থাও নেননি।
এ ঘটনা অস্বীকার করে মাসুম শিকদার বলেন, ‘সাইদুর আমার কাছের বন্ধু। গতকাল বিকেলে মাদার বখশ হলের পাশে সাইদুর, আনিস আর আমি মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সে সময় সাইদুর কথা বলার জন্য একটু দূরে গেলে আনিসকে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করি। এর বেশি কিছু না। পরে আবার সাইদুরের সঙ্গে দেখা হলে আলাপচারিতার একপর্যায়ে একটু ঝামেলা হয়। আমরা দুজনই দুজনকে ঘুষি মারি। আমার ঘুষিতে সাইদুরের মাথা কেটে যায়।’
জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেব।’