রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীর মামা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা এবং ভাই আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ভোলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামার নাম নাজমুল হোসেন (২৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীর ভাই তারিকুল ইসলামকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তাঁর বাবা শাহজাহান মাস্টারকে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেদ আলীর ছেলে সুমন তারিকুলের বোনকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় সুমনের পরিবারের কাছে নালিশ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে সুমনের সঙ্গে তারিকুল ও তার মামা নাজমুলের বসচা হয়। ওই সময় উভয়ের মধ্যে চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সূত্র ধরে সন্ধ্যার পরে সুমনের স্বজনেরা তারিকুল ও নাজমুল হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
আহত তারিকুল ইসলাম জানান, বোনকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতেন লালপুরের মনিপুর গ্রামের আরজেদ আলির ছেলে সুমন। ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে মনিহরপুর ও সুলতানপুর গ্রামের সুমন, সম্রাট, সুলতান, আরিফ, নাজমুল, মিঠু ও রামকৃষ্ণপুরের কামরুলসহ ১৫-২০ জনের একটি দল তাঁর বাবা শাহাজান মাস্টারের ওপর হামলা চালায়। মোবাইলে এ খবর জানার পর লালপুরের নওপাড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে মামা নাজমুল ও তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যান। সেখানেই নাজমুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে তাঁকেও জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুল ও তারিকুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুন নাহার কান্তা নাজমুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বাঘা ও লালপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় আসামিরা পালিয়ে লালপুর থানা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওসি বলেন, নিহত নাজমুল হোসেনের ভাগনিকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলার সূত্রপাত হয়েছে। বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নাজমুল হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।