একটি গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাঘায় এক কলেজছাত্রকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. হৃদয় (২০)। তিনি বাঘার শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। হৃদয় উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে। দিল মোহাম্মদ বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, গতকাল দুপুরে হৃদয় বাড়ির পাশের একটি গাছের ডাল কাটছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী সাদেক আলী দাবি করেন, ওই গাছটি তাঁদের। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাদেক আলী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হৃদয়ের ওপর হামলা করেন। হৃদয়কে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গেলে আরও কয়েকজন আহত হন। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর আহত হৃদয়কে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে রাত ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদয়ের বাবার করা মামলায় মোট আসামি করা হয় ১৫ জনকে। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হচ্ছেন প্রতিবেশী সাদেক আলী (৬০), তাঁর স্ত্রী রুমিয়া বেগম (৫০), পুত্রবধূ আজমিরা বেগম (৩৫) ও কল্পনা খাতুন (৩৩)।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, হৃদয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ওই কলেজছাত্রের গায়ে দৃশ্যমান আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো ভেতরে আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।