রাজশাহীতে কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছেন তরুণীরাও। তাঁরা প্রতারণার ফাঁদ পেতে কিশোর ও তরুণদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিওচিত্র ধারণ করে চাঁদাবাজি করছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এমন গ্যাংয়ের সদস্য তিন কিশোরকে আজ রোববার সকালে পুঠিয়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া যাঁর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা আছে, তাঁকে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তরুণীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, একটি কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য সম্প্রতি পুঠিয়া উপজেলায় এক কিশোরকে তুলে নিয়ে যান। পরে জোর করে এক তরুণীর সঙ্গে ওই কিশোরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওচিত্র দিয়ে সেই কিশোরকে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন কিশোর হলেন রাকিবুল হাসান (১৮), আমিনুল ইসলাম (১৮) ও এসএম হাসিবুল হাসান (১৮)। পুলিশের দাবি, এঁরা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ভিডিও করে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলায় সম্প্রতি কিশোর গ্যাং কালচার শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে গোদাগাড়ীতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে শামীম ও বাবু নামের দুই বন্ধু পুঠিয়া উপজেলা গাওপাড়া ঢালানের একটি কালভার্টে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় রাকিবুল, আমিনুল ও হাসিবুলসহ আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে শামীম ও বাবুকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এরপর শামীমকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকে তাঁদের গ্যাংয়ের সদস্য এক তরুণী ছিলেন। পরে শামীমকে ওই তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্র ধারণে বাধ্য করা হয়। এ সময় শামীমের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে পুলিশ ও পরিবারের কাছে ভিডিও দেখানোর হুমকি দেওয়া হয়। পরে শামীম কৌশলে সেই পরিত্যক্ত ভবন থেকে পালিয়ে এসে পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালায়।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁদের ধরতেও অভিযান চলছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে কিছু তরুণীও আছেন। তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।