যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন সাকিবকে হত্যার হুমকিদাতা মহসিন

মহসিন তালুকদার
মহসিন তালুকদার

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে পালিয়ে আসেন মহসিন তালুকদার (৪০)। লুকিয়ে ছিলেন জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসি গ্রামের একটি বাড়িতে। ওই বাড়িটি তাঁর ভায়রার। সেখান থেকেই আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে র‌্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-৯-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, মহসিন সুনামগঞ্জে লুকিয়ে আছেন, এই খবর পেয়ে সোমবার রাতেই তিনটি দল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে। সুনামগঞ্জে থাকা তাঁর বিভিন্ন আত্মীয় ও পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সিলেট থেকে তাঁর স্ত্রী ও ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সুনামগঞ্জে আনা হয়। স্ত্রীও মহসিনকে ধরতে সহায়তা করেন। মঙ্গলবার সকালে একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন মহসিন। ওই ফোনের সূত্র ধরেই তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে রনসি গ্রামের ওই বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মহসিনকে সিলেট র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

মহসিন তালুকদার সিলেট সদর উপজেলার শাহপুর তালুকদারপাড়া গ্রামের আজাদ বক্স তালুকদারের ছেলে। মহসিন একসময় ব্যবসা করলেও করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বেকার।

গত শনিবার রাত ১২টার দিকে তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। সম্প্রতি কলকাতায় কালীপূজার একটি অনুষ্ঠানে সাকিবের উপস্থিতির কারণে তাঁকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন এই যুবক। এরপর রোববার ভোর ছয়টার দিকে আবারও লাইভে এসে আগের ভিডিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সাকিব আল হাসানকে জাতির উদ্দেশে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে গতকাল কলকাতায় পূজার আয়োজনে অংশ নেওয়া এবং এক ভক্তের মোবাইল ভাঙার বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ভিডিও বার্তা দেন সাকিব

এ ঘটনায় সোমবার রাতে জালালাবাদ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মোর্শেদ বাদী হয়ে মহসিন উদ্দিনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।

সুনামগঞ্জ থেকে মহসিনকে গ্রেপ্তারের সময় র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম, র‌্যাবের সুনামগঞ্জ কোম্পানির কমান্ডার ফয়সল আহমদ, একই কোম্পানির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।