ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে পণ্ড হয়ে গেছে যুবলীগের হরতালবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি। পরে এ নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি হামলায় আটজন আহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রামপুরায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে রামপুরার পলাশবাগে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা মোয়াজ্জেম ও তাঁর সঙ্গীরা যুবলীগের মিছিলে গুলি চালান। এতে যুবলীগের কর্মী আরিফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া হামলায় আরও আহত হন যুবলীগের কর্মী সোয়েব উদ্দিন, জহির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও নিপু। মিছিলে অংশ নিতে আসা যুবলীগের কর্মী রমিজ আহমেদ জানান, মোয়াজ্জেম মিছিলে গুলি ছুড়লে আরিফ আহত হন।
রামপুরা থানার পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র বলেছে, আরিফ গুলিবিদ্ধ হওয়ার জের ধরে রামপুরা এলাকায় মোয়াজ্জেম-সমর্থক ছাত্রলীগের কর্মী সেলিমের পায়ে গুলি করেন যুবলীগের কয়েকজন কর্মী। পরে গুলিবিদ্ধ সেলিমকে ছাত্রলীগের কর্মী সায়মন ও বাবুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনেন। এ সময় সেখানে থাকা যুবলীগের কর্মীরা তাঁদের দুজনকে মারধর করেন। হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সাংসদ এ কে এম রহমতউল্লাহ হরতালবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি দেখে যাওয়ার পর মোয়াজ্জেমরা হামলা চালান। মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিমসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি।