যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় আবদুস সামাদ নামের এক মুক্তিযোদ্ধা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফীর পরিচয় দিয়ে দুটি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে একটি চক্র তাঁর কাছ থেকে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ‘ইউএনও মনিরামপুর যশোর’ ফেসবুক পেজে এ–সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মনিরামপুর উপজেলায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নাম, পদবি ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আদায় করছে। ১৪ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস সামাদকে দুটি নম্বর থেকে প্রতারণা করে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মনিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদের ঋণ মাফ করে দেওয়ার কথা বলে একটি প্রতারক চক্র ইউএনওর পরিচয় দিয়ে বিকাশে টাকা চেয়েছে। আবদুস সামাদ আমাদের কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে বিকাশের দুইটি নম্বরে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে এক ব্যক্তি মনিরামপুরের ইউএনওর পরিচয় দিয়ে দুই লাখ টাকা ঋণ পাস করে দেওয়ার কথা বলে। ফোনে বলা হয়, ঋণ পাস করাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমান্ডারকে টাকা দিতে হবে। চক্রটি সামাদকে দুটি নম্বর দিয়ে বিকাশ করে টাকা পাঠাতে বলে। তখন তিনি ওই দুই নম্বরে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়েছেন। একইভাবে খানপুর ইউপির সব সদস্যকে ফোন দিয়েছিল চক্রটি। দুজন সদস্য বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন। তাঁদের টাকা পাঠাতে নিষেধ করে দেওয়া হয়।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা গত বৃহস্পতিবার থানায় একটি জিডি করেছেন। প্রতারক চক্রটিকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।