ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। পরে চুরি যাওয়া নবজাতককে সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী থেকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করে দুপুর একটার দিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হন আকলিমা বেগম (২২)। তিনি মাদারীপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ নূর শিরখাড়া গ্রামের রুবেল মুন্সীর স্ত্রী। রুবেল একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আকলিমা ছেলে সন্তান জন্ম দেন। পরে সেই নবজাতক চুরি হয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, অস্ত্রোপচারের পর আকলিমা ও নবজাতককে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে রাখা হয়। একই দিন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরেক মা আন্না বেগমের (২৪) সন্তান হয়। তাঁর নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নবজাতকটি মারা যায়। আন্নার মা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী গ্রামের ইসমাইল মোল্লার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০) আকলিমার নবজাতককে রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে চুরি করেন। তিনি নবজাতককে প্রথমে ফরিদপুর সদরের নিখুর্দী গ্রামে মেয়ে লাবণী বেগমের (২২) বাড়িতে রাখেন। পরে তাকে সদরপুরের ঠেঙ্গামারীতে নিয়ে যান। সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুরি যাওয়া নবজাতককে পুলিশ উদ্ধার করে। পরে তাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ‘মেয়ের কোল ভরে দিতে’ মা নাজমা এমনটা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে নিখুর্দী ও পরে ঠেঙ্গামারী গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ঠেঙ্গামারীতে নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে আকলিমার চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাজমা বেগম ও তাঁর এক মেয়ে লাবণী বেগমকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, নিজের মেয়ের কোল ভরিয়ে দেওয়ার জন্য আকলিমার শিশুকে চুরি করেছিলেন বলে নাজমা বেগম দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে শিশু চুরির অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।