রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় মেয়েকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে শিশুটির মা পাংশা এ থানায় মামলা করেছেন। এর আগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি তার আরও এক বোনসহ দাদা-দাদির সঙ্গে থাকে। একমাত্র ভাই তার মা-বাবার সঙ্গে কুষ্টিয়ায় থাকে। বাবা একটি হোটেলে ও মা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। শিশুটির বাবা তাঁর দুই মেয়েকে দেখভালের জন্য প্রায়ই পাংশায় আসেন। মেয়েদের দেখভালের জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবা গ্রামের বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে শিশুটি ঘর গোছানোর কাজ করছিল। এ সময় বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় শিশুটির বাবা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করে শিশুটির মাকে খবর দেওয়া হয়। পরে শিশুটির মা বাড়িতে এলে স্থানীয় লোকজন শিশুটির বাবাকে মারধরের পর পুলিশে খবর দেন। ওই ব্যক্তি বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক দিন ধরে এই খারাপ কাজ করে আসছিল। আমরা বিষয়টি কখনো চিন্তাও করি নাই। কিন্তু মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। এ ঘটনার পরে আমার কাছে সে সবকিছু বলেছে।’
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির বাবাকে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। থানায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামী রোববার বয়স নির্ধারণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।