মেহেরপুর শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রমজান শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, তিনি জামায়াতের কর্মী ও কয়েকটি মামলার আসামি। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও পরিবার বলছে রমজান বিএনপির সক্রিয় নেতা।
নিহত রমজানের বাড়ি সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীবের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে রমজানকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে রাতে পুলিশের একটি দল অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শশ্মানঘাট এলাকায় যায়। সেখানে আগে থেকে তাঁর সহযোগীরা ওত পেতে ছিল। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় রমজান আলী গুলিবিদ্ধ হন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি শাটারগান, দুটি গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, রমজান আলীর নামে সদর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে রাজনগরে র্যাব সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ (সদর) আসনের সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুণ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রমজান বিএনপির সক্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।’ তাঁর অভিযোগ, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রমজানের ভূমিকা ছিল। এখন কোনো আন্দোলন নেই। পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে।
নিহত রমজানের স্ত্রী শরিফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর স্বামী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গতকাল শনিবার সকালে বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।