রিফাত শরীফ হত্যা মামলা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে বরিশাল কারাগারে স্থানান্তর

পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরগুনা থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় আসামিদের স্বজনেরা কারাফটকে ভিড় করেন
প্রথম আলো

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরগুনা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের বরগুনা থেকে বরিশালে নেওয়া হয়।

আসামিরা হলেন কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান।

৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

বরগুনা জেলা কারাগারের জেলার আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় বরগুনা কারাগার থেকে  রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে বরগুনা থেকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরের দিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়শাকে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এই মামলায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশাসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা হয় ২৭ অক্টোবর। বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। এতে ছয়জনকে ১০ বছর, চারজনকে ৫ বছর ও একজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন শিশু আদালত।