মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফা রহমানকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তাঁকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে নিয়ে আসে পুলিশ।
পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) মো. আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি সাইফা রহমান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, সাইফা রহমান হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের সাবেক স্ত্রী।
এর আগে গত বছরের ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাতের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মোসারাতের বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানের ফ্ল্যাটে গিয়েই পুলিশ আঁচ করতে পারে, মোসারাতের মৃত্যুর পেছনে ‘বড় প্ররোচনা’ আছে। তাঁরা ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। এ মামলায় গত জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
ঢাকার সিএমএম আদালত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। আদালতের এ আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান আনভীর। এরপর মোসারাতকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়।
মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান গত ৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
এ মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, সাইফা রহমান, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, শারমিন ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়েছে।