চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মো. ফজলুল হক (৪০) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফজলুল উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। ২৪ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় মিরসরাইয়ে কলঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপাশের জমি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, গত শুক্রবার রাত এগারোটায় খৈয়াছড়া ইউনিয়নের তারাঘোনা এলাকায় নিজেদের পারিবারিক মৎস্য খামার থেকে অজ্ঞাত লোকজন তুলে নিয়ে যায় ফজলুল হককে। শনিবার দুপুরে বিষয়টি মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা-পুলিশকে জানান নিহতের বড় ভাই মো. রেজাউল করিম। ৩০ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর ২৪ নভেম্বর ভোরে স্থানীয় লোকজন মহাসড়কের পাশে ফজলুল হকের মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে আটটায় বাড়ি থেকে ফজলুলের লাশ মিরসরাই থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ফজলুল হকের বড় ভাই রেজউল করিম বলেন, ‘কে বা কারা কি জন্য আমার ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে তা এখনো বুঝতে পারছি না। পুলিশ বলছে তাঁর নামে থানায় মামলা আছে। কিসের মামলা তাও জানি না। তবে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। এখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মামলা করব কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ফজলুল হক এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় তিনটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।