রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর মাজার রোড এলাকার ফলের আড়তে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার সকালে এই আড়তে অভিযান চলে। এতে কৃত্রিমভাবে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে অপরিপক্ব আম পাকানোর দায়ে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় ১ হাজার ১০০ মণ আম ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মিরপুরে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থাকা আমের আড়তের আম পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওই আমে ইথোফেন হরমোন স্প্রে করা হয়েছে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এ বছরের অভিযানে এবারই প্রথম আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড পাওয়া গেল। এটা আম পাকাতে ব্যবহার করা হয়। জব্দ করা আমগুলো অপরিপক্ব বলে উল্লেখ করে সারওয়ার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসব আম রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। বেশি মুনাফার আশায় এটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অভিযানে ইথোফেন হরমোন ও কার্বাইডের জারও জব্দ করা হয়।
অভিযানে ছয় আম ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সাল আহমেদ ও সোবহানকে এক বছর, নুরুল ও তবারককে ছয় মাস, রমজানকে তিন মাস ও মনির হোসেনকে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। র্যাব ছাড়াও অভিযানে অংশ নেয় বিএসটিআই এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
গত বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীতে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার মণ আমের পাশাপাশি ৪০ মণ খেজুরও ধ্বংস করা হয়। ওই সময়ও আমে ইথোপেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ক্ষতিকর এমন আম বিক্রির দায়ে আশা বাণিজ্যালয়ের লুৎফুর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর করে, মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মো. মোস্তফা ও সাতক্ষীরা বাণিজ্যালয়ের মো. ইয়াসিনকে ছয় মাস করে, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহা ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো. শহিদুলকে দুই মাস করে, অমিউর ট্রেডার্সের রণজিৎ রাজবংশীকে তিন মাস, মেহেদী হাসান ও রেজাউলকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৫ মে কারওয়ান বাজারের ফলের আড়তে আরেক অভিযানে অপরিপক্ব ৬০০ মণ আম জব্দ করা হয়। ওই দিন সকাল আটটা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা ওই অভিযানে জব্দ করা আম নষ্ট করে ফেলা হয়। অপরিপক্ব আম বিক্রির অভিযোগে আটজনকে দুই থেকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন...