রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলায় আলামিন ওরফে জনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব আজ শনিবার ভোরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।
আলামিন ওরফে জনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে ঢাবকায় র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলে ভিআইপি রোডে মায়াকাননের পঞ্চম তলার নিজ বাসায় শামসুন্নাহার (৪৬) ও তাঁর ছোট ছেলে সাজ্জাদুর করিম ওরফে শাওনকে (১৮) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শামসুন্নাহার তাঁর স্বামী আবদুল করিমের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল করিম তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন, হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। আবদুল করিম, তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার ও শারমিনের ভাই আল আমিন ওরফে জনি অজ্ঞাতনামা খুনিদের দিয়ে শামসুন্নাহার ও তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলেকে হত্যা করেছেন।
মা-ছেলে হত্যার ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তারকে গতকাল শুক্রবার ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা পুলিশের রমনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল প্রথম আলোকে বলেন, শামসুন্নাহার অনেক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। সেই সম্পত্তি ফেরত নিতে না পেরে শামসুন্নাহারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পেশাদার খুনি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।