পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হত্যার বিষয়ে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহত ওই ছাত্রের নাম সিমায় (১১)। তার বাবার নাম মো. শাহজাহান গাজী। তারা মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাইদুল ইসলাম ওরফে জামাল। তাঁকে গতকাল সোমবার সকালে মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সিয়ামকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন সাইদুল।
এরপর সাইদুলকে গতকাল দুপুরে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসিফ ১৬৪ ধারায় সাইদুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ঘটনার ছয় মাস পর গতকাল সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাইদুল জানিয়েছেন, প্রতিবেশী হওয়ায় সিয়ামদের বাড়িতে সাইদুলের দীর্ঘদিন আসা-যাওয়া ছিল। একপর্যায়ে শাহজাহানের স্ত্রীর সঙ্গে সাইদুলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২৫ জানুয়ারি সাইদুলের সঙ্গে মাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় সিয়াম। এরপরই সিয়ামকে হত্যা করেন সাইদুল। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুলকে আরও ছয়জন সাহায্য করেছে বলেন জানান তিনি।
ওসি মাসুমুর বলেন, জবানবন্দি শেষে সাইদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহআলম বলেন, সিয়াম বাড়ির পাশে মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরদিন ২৬ জানুয়ারি সকালে বাড়ির পাশে ধানখেত থেকে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৭ জানুয়ারি সিয়ামের বাবা মো. শাহজাহান গাজী আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় জুয়েল গাজীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন শাহজাহান। সেই সময় ধারণা করা হয়েছিল, পূর্বশত্রুতার জেরে সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে।