রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলার পর পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় প্রবেশের সময় সব আগন্তুককে বিধি অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্লকরেড, চেকপোস্টে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকারের বিষয়টি দৃষ্টিতে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে আইএসের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া আজ সোমবার জানান, মালিবাগ মোড়ে রোববার রাতে বিস্ফোরিত ককটেলটি বেশ শক্তিশালী ছিল। এটি আগে থেকেই পুলিশের ভ্যানের পেছনে রাখা ছিল।
মালিবাগে পুলিশের একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার, রিকশাচালক লাল মিয়াসহ তিনজন আহত হন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাল মিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখার পর সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য এমন ঘটনা ঘটছে। এতে জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কাউন্টার টেররিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। হামলার লক্ষ্য পুলিশ না অন্য কেউ, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।