মামলায় দেলোয়ারের নাম না থাকলেও আসামিরা তাঁর লোক: র‍্যাব

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় অস্ত্রসহ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন (বাঁয়ে) ও মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে (ডানে) গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব-১১
প্রথম আলো

নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরে দেলোয়ারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে (২০) কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‍্যাব। র‍্যাবের দাবি, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর করা মামলার এজাহারে দেলোয়ারের নাম না থাকলেও আসামিরা সবাই তাঁরই লোক। তাঁরা একত্রে চলাফেলা করেন এবং নানা অপকর্ম করেন।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‍্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকা থেকে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আসামিরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেন। তবে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতায় শিমরাইল তল্লাশিচৌকিতে তল্লাশিকালে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুটি গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে ভোরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচর চর এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানা থেকে এই ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেলোয়ার অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এই র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ২ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওই নারীর বাড়িতে যান। তাঁকে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁরা টাকা দাবি করেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

র‌্যাব-১১–এর উদ্ধার করা অস্ত্র

র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, দেলোয়ার বাহিনী ওই এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। দেলোয়ার এলাকায় অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে দুটি চাঁদাবাজির মামলা আছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পেছনে কাদের হাত আছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটির সঙ্গে অন্তত ৮-১০ জন জড়িত আছেন।