নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের এই আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।
রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের হওয়া মানব পাচারের মামলায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইভানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের আগস্ট মাসে নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁরা হলেন আজম খান, তাঁর সহযোগী ডায়মন্ড, আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়না, আজমের এদেশীয় প্রতিনিধি নির্মল সরকার ও মো. ইয়াছিন। তাঁদের মধ্যে আজম খান, নির্মল সরকার ও মো. ইয়াছিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতে ইভানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির ভাষ্য, জবানবন্দিতে আসামিরা বলেছেন, তাঁদের চক্রটি মূলত ‘নৃত্যকেন্দ্রিক’। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই চক্রের অংশ। জড়িত আছেন ছোটখাটো ক্লাবের কর্ণধারেরাও। ছোটখাটো ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যেসব নৃত্যশিল্পী গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করেন, তাঁরাই ছিলেন এই পাচারকারী চক্রের প্রধান লক্ষ্য। দেশের বেশ কিছু জেলায় তাঁদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথাবার্তার পর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মৃণাল কান্তি সাহা গত বছরের ২ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেন। এজাহারে আজমসহ তাঁর তিন ভাই, আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল দাস (এজেন্ট), আলমগীর (দুবাই ক্লাবের সুপারভাইজার), আমান (এজেন্ট) ও শুভকে (এজেন্ট) আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, আজম, তাঁর দুই ভাইসহ মামলার আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে মেয়েদের যৌনকর্মে বাধ্য করতেন। এই তিনজনের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেওয়ার নামে তাঁদের দুবাই পাঠাচ্ছিলেন।