পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে গতকাল শনিবার দৃষ্কৃতকারীদের গুলিতে ছয় ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন (সিএইচটি কমিশন)। আজ রোববার পৃথক দুই বিবৃতিতে দুটি সংগঠন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বিবৃতিতে বলেন, কমিশন লক্ষ করছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এসব ঘটনা দ্রুত আমলে নিয়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।
খাগড়াছড়ির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন একটি তথ্যসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে গত ৯ মাসে ৩০টির অধিক খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন সংকটময় অবস্থায়ও স্থানীয় প্রশাসনের দিক থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে সুশাসনের অভাব ও বিচারহীনতার পরিবেশ অব্যাহত থাকায় সেখানে অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে, যা দেশের জন্যও ক্ষতিকর।
সিএইচটি কমিশনের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনটির তিন কো-চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, এলসা স্টামাতোপৌলৌ এবং মির্না কানিংহাম কেইন।