চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় একটি মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (৯) যৌন নিপীড়ন (বলাৎকার) করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে মাদ্রাসাটির এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষককে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। মামলার ভিত্তিতে গতকাল রোববার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ওই শিশুকে তার অভিভাবক চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। ২১ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্ররা ঘুমাতে যায়। এ অবস্থায় মাদ্রাসার এক শিক্ষক ওই ছাত্রকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখান শিক্ষক।
পরদিন সকালে বিষয়টি মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা জেনে যায়। একপর্যায়ে তা মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদকে জানানো হয়। গত এক সপ্তাহেও ব্যবস্থাপনা পরিষদ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। গতকাল রাতে এলাকাবাসী বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসা ঘেরাও করে। তারা অভিযোগ ওঠা শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও তাঁর শাস্তি দাবি করে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল কর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াশীমুল বারী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা ভুক্তভোগী ছাত্র ও অন্য শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপস্থিত জনতার বিক্ষোভের মুখে অভিযোগ ওঠা শিক্ষককে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পরে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে মামলা করলে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।