ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক সালমান আহমেদকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
চতুর্থ শ্রেণির ওই মাদ্রাসা ছাত্র জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। আর মাদ্রাসা শিক্ষক সালমান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পাইকরাজ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। মাদ্রাসাছাত্রের বাবা তাঁকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জের ওই শিশুটি সদর উপজেলার ওই আবাসিক মাদ্রাসায় থাকত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসার ভেতরে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন সালমান। ভয়ে ছেলেটি তৎক্ষণাৎ বিষয়টি কাউকে বলেনি। তবে গতকাল শুক্রবার সকালে বিষয়টি ফোন করে পরিবারকে জানায় সে।
পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গিয়ে বিষয়টি অধ্যক্ষকে ও বিকেলে সদর থানা-পুলিশকে জানায়। সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদ্রাসাছাত্র ও শিক্ষক সালমানকে থানায় নিয়ে যায়। রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবীর মাদ্রাসাছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আজ শনিবার সকালে মাদ্রাসাছাত্রের বাবা ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে মাদ্রাসাছাত্র তাদের কিছু বলেনি। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি এ কাজ করেননি বলে জানিয়েছেন। অধ্যক্ষ জানান, মাদ্রাসায় ২২২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জায়গা না থাকার করণে অনেককে রাতে দরজার সামনে ঘুমাতে হয়। অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রের পরিবার থানায় এজাহার দিয়েছে। ওই মাদ্রাসা ছাত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।