একটি মেলায় ঢোকা নিয়ে দুজনের বাগ্বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি হয়েছিল। আর এর জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাদারীপুরে ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের আহত সদস্যরা হলেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জমান (৩৫), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) উত্তম দাস (২৭), পুলিশ সদস্য মো. দেলোয়ার (২৫), সেলিম মিয়া (২২), মো. নজরুল (২৩), সুকদেব (২৫), লিয়াকত (২৪)। অন্যদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের কুটির শিল্প ও আনন্দ মেলায় প্রবেশ করা নিয়ে বাগেরপাড় এলাকার অন্তর হাওলাদারের (২২) সঙ্গে হরিকুমারিয়া এলাকার রাসেদুল ইসলাম ওরফে খোকন তালুকদারের (২০) হাতাহাতি হয়। এরই জেরে ভোরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরোনো বাসস্ট্যান্ডের আলমগীর হোসেনের দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও লাইনের অতিরিক্ত পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আমার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। দোকানের তিনটা ফ্রিজ ভেঙে মালামাল লুট করেছে। দোকানে কেউ ছিল না। কারা এ কাজ করেছে তাদের দেখিনি।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘মেলায় ঢোকা নিয়ে স্থানীয় দুই তরুণের হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৩০ থেকে ৪০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনার পরে আমরা ৫ জনকে আটক করেছি। ঘটনার পর থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে দেয় পুলিশ। এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’