যুব মহিলা লীগের আলোচিত বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের অষ্টম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাপিয়ার আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, মাদক মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
এর আগে অস্ত্র মামলায় দণ্ডিত পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ২০ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে শামীমা নূর পাপিয়া ও মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-১-এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল তখন জানান, পাপিয়ার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট রুম এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকাসহ অনেক কিছু উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট ও দুই কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে এক কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং নরসিংদী জেলায় ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা ।
এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে। ধরা পড়ার পর পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা কারাগারে আছেন।