মাদকের পৃথক পাঁচটি মামলায় আসামিদের কারাদণ্ড না দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আজাদ রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক পাঁচটি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এ সময় আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চান। আদালত সাজার পরিবর্তে তাঁদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন। ব্যতিক্রমী ওই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় রফিকুল ইসলাম, লালবাগ থানার মামলায় রুবেল, মুগদা থানার মামলায় হাসান, চকবাজার থানার মামলায় ওমর ফারুক এবং মিরপুর থানার মামলায় শাহাবুল ইসলাম।
সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান বলেন, আদালত মাদক মামলায় আসামিদের কারাদণ্ড দেওয়ার পরিবর্তে আগামী ছয় মাস সপ্তাহে এক দিন ঢাকা দক্ষিণ বা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে আসামিদের ধর্মীয় আচরণবিধি ও অনুশাসন মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।