আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ায় কেরানীগঞ্জের এক যুবককে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। হত্যায় জড়িত সন্দেহে র্যাব পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব বলেছে, নিহত সায়মন ওরফে নূরে আলম (২৫) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স (তথ্যদাতা) ছিলেন। নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগেও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য দেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁকে হত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত শনিবার কেরানীগঞ্জে সায়মনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মো. আরস আলম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করে গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সুমন ওরফে গ্লাস সুমন (২৯), মো. সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ (২৮), শরীফ ওরফে গরীব (২৯), জনি ওরফে পাওয়ার জনি (৩২) ও হারুনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব বলেছে, সুমন একটি মাদক চক্রের প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জসহ পাশ্বর্বর্তী এলাকায় ১২ থেকে ১৫ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের গ্রুপের বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনার জন্য সুমন ও তাঁর সহযোগীরা সায়মনকে সন্দেহ করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কেরানীগঞ্জের মুক্তিরবাগ বালুর মাঠ এলাকায় বসে সায়মনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সুমন ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ঘটনার দিন সুমন ও সহযোগীরা মুক্তিরবাগ বালুর মাঠ থেকে সায়মনকে জোর করে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে হাত–পায়ের রগ কেটে তাঁকে হত্যা করা হয়।
র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সুমন আগে গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন। ভাঙা গ্লাস দিয়ে মানুষকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করে জখম করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক ও ছিনতাই–সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা রয়েছে। অপর দিকে সায়মন হত্যায় গ্রেপ্তার সোহাগ, জনি ও হারুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।