বাসাবাড়ি কিংবা অফিস পার্কিংয়ের নিচে থাকা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মাত্র ৭৮ সেকেন্ডের মধ্যে চুরি করা হয়। পরে বিক্রির আগে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
গত বুধবার নগর, কক্সবাজার ও নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা চোরচক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে চুরি করা চারটি মোটরসাইকেল ও দুটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার চোরেরা হলেন আমিনুল হক, মো. নাছির, শাহজাহান ও কামাল উদ্দিন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চোর চক্রটির সন্ধান পায়। নগরের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে চুরি করা একটি মোটরসাইকেলসহ চক্রের সদস্য নাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, দলের কয়েকজন সদস্য চুরির জন্য লক্ষ্য করা গাড়িটির অবস্থান রেকি করে আসেন। তাঁদের ভাষায় এদের বলা হয় দারোয়ান। আরেক দল থাকে বাইরে। তাঁদের কাছ থেকে সংকেত পাওয়ার পর তাঁরা চুরি করতে যান। এদের বলা হয় কর্মী। আর চুরি করতে সময় লাগে মাত্র ৭৮ সেকেন্ড। পরে গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে ফেলেন। কম দামে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মইন উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার চোর চক্রের সদস্যদের সঙ্গে কক্সবাজার, বান্দরবান ও নাইক্ষংছড়ির চোর চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে নগর ও েজলার বিভিন্ন থানায় একাধিক গাড়ি চুরির মামলা রয়েছে।