নেত্রকোনা সদর উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজন মিয়া (২৫) নামের এক মাছ বিক্রেতার ওপর দুর্বৃত্তরা এসিড ছুঁড়েছে। দগ্ধ অবস্থায় রাজনকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের দুইজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রাজনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের নারায়নপুরে। বাবা নজরুল মিয়াও একজন মাছ বিক্রেতা। নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজন সিংহের বাংলার বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে সহিলপুর গ্রামে সাইকেল আরোহী চার যুবক রাজনকে লক্ষ্য করে তরল জাতীয় কিছু ছুঁড়ে মারে। এরপর ওই যুবকেরা পালিয়ে যান। রাজনের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে রাজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নজরুল অভিযোগ করেন, তাঁদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম রুহি গ্রামের আবদুল মান্নাফ আলী ও তার ভাতিজা রুবেলের নেতৃত্বে তার ছেলের ওপর এসিড ছুঁড়ে মারা হয়েছে। কারণ ঘটনার সময় এ দুইজন আশপাশে ছিল। রাজন যখন চিৎকার চেঁচামেচি করছিল তখন তারা তাঁকে মারতেও এসেছিল। বলেছিল, ‘এবার মজা বুঝ।’
নজরুল বলেন, কিছুদিন আগে তাঁর গ্রামের এক নারী বাসিন্দা আবদুল মান্নাফের রুহি গ্রাম থেকে একটি জমি কিনেছিলেন। এজন্য আবদুল মান্নাফ ওই নারীর কাছ থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি জানার পর তিনি (নজরুল) ও তাঁর ইউনিয়নের সদস্য লাল মিয়া প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে আবদুল মান্নাফ ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নেত্রকোনা আধুনিকর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মৃদুল দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধারণা করা হচ্ছে, রাজনের ওপর এসিড ছোঁড়া হয়েছে। তাঁর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মান্নাফ ও তাঁর ভাতিজা রুবেল পলাতক। তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।