মাগুরা সদর উপজেলায় আল আমিন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ওই গ্রামের সিকাদার বাড়ির পাশে একটি পাটখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার পারুয়ারকুল গ্রাম থেকে এক যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আল আমিন হোসেন মৃত হাসানের ছেলে। সে সদর উপজেলার মহিষাডঙ্গা গ্রামে নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে থাকত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে কয়েকটি শিশু মরদেহটি দেখতে পায়। তারপর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চাউলিয়া ইউনিয়নের কুকিলা গ্রামে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
আল আমিনের মামা ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে জানান, আল আমিনের বাবার মৃত্যুর পর তার মা আবার বিয়ে করেন। ছোটবেলা থেকেই সে নানা বাড়িতে থাকে। প্রায় এক মাস আগে আল আমিনকে একটি ইজিবাইক কিনে দেওয়া হয়। ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘গতকাল সকালে সে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর তার সঙ্গে শেষবারের মতো মুঠোফোনে কথা হয়। তখন সে জানিয়েছিল, জগদল এলাকায় আছে। মাগুরায় একটি ভাড়া পেয়েছে, ওটা নামিয়ে দিয়েই বাড়িতে ফিরবে। এখন এসে দেখি, পাটখেতে পড়ে আছে ওর নিথর দেহ।’
আল আমিনের ইজিবাইকের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, ওই ইজিবাইক ছিনতাই করতে গিয়েই আল আমিনকে হত্যা করা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার উপপরিদর্শক পারভেজ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। তদন্ত শেষে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন মাগুরায় গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সীতা পাগলের আশ্রমসংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে এক যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।