টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চারজনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার জোয়াদ আলীর আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মধুপুরের ব্রাহ্মণবাড়ি গ্রামের মৃত মকবর আলীর ছেলে জোয়াদ আলীকে (৩০) গত রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন ওই গ্রাম থেকে সাগর আলী (২৮) নামের আরেক যুবককে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় র্যাব। তিনি ব্রাহ্মণবাড়ি গ্রামের মৃত মকবর আলীর ছেলে। পরদিন সোমবার জোয়াদ আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারিক কামাল জানান, জোয়াদ আলীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে আবার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম আজ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৭ জুলাই মধুপুর উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে ব্যবসায়ী আবদুল গনি (৫২), তার স্ত্রী তাজিরন বেগম (৪২), তাঁদের ছেলে তরিকুল ওরফে তাজেল (১৮) ও মেয়ে সাদিয়ার (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই দিনই নিহত গনির বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার সাগর আলী গত মঙ্গলবার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এখন জেলহাজতে রয়েছেন। জবানবন্দিতে সাগর জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে তিনি ২০০ টাকা ধার চাইলে আবদুল গনি তাঁকে খুব অপমান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর আবদুল গনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে তাঁর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চেতনানাশক সংগ্রহ করেন। রাতে আবদুল গনির বাড়িতে গিয়ে চেতনানাশক দিয়ে তাঁকে, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে অজ্ঞান করে হত্যা করেন। পরে ওই বাড়ি থেকে কিছু মালামালও লুট করেন।