ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এই মামলায় আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে মামলার ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
আজ যে তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক, ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান এবং র্যাবের নায়েব সুবেদার মো. শওকত। ১২ নভেম্বর এই মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হবে না। আত্মপক্ষ সমর্থন এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
গত ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মামলার অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইলসহ মামলার আলামত হিসেবে ২০ ধরনের জিনিসপত্র জব্দ দেখানো হয়েছে।
আদালতকে দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ বলেছে, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় আসামি মজনু তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেপ্তার করে।