প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা পৃথক দুটি মামলায় ভুয়া অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদেরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভুয়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৮ অক্টোবর আবদুল কাদের গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে রাজধানীর পল্লবী থানার একটি অস্ত্র মামলায় চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও ও গুলশান থানায়ও একাধিক মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁও থানার পৃথক দুটি মামলায় আবদুল কাদেরকে আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে একটি মামলায় চার দিন, অন্য মামলায় তিন দিন, মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
পুলিশ জানায়, আবদুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। বাবার নাম ইদ্রিস আলম। মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে না পারলেও আবদুল কাদের নিজেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিতেন।
প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ অক্টোবর আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির হোসেন নামের এক ঠিকাদার। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের মে মাসে কারওয়ান বাজারে আবদুল কাদেরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তিনি আবদুল কাদেরের অফিসে যান এবং ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ হয়। এ সময় আবদুল কাদের নিজেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডও ব্যবহার করতে দেখেন তিনি।
মামলায় ঠিকাদার মনির হোসেন আরও অভিযোগ করেন, আলাপের সময় আবদুল কাদের তাঁকে জানিয়েছিলেন, একটি সরকারি বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে। ওই বাহিনীর বিভিন্ন কনস্ট্রাকশনের কাজে তিনি ইট, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করে থাকেন। ওই বাহিনীর নির্মাণাধীন একটি আবাসন প্রকল্পে তাঁকে বালু সরবরাহ করতে বলেন তিনি। পরে আবদুল কাদেরের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে। ওই প্রকল্পের কাজ পেতে তাঁকে বিভিন্ন সময় মোট ৪০ লাখ টাকা দেন মনির। তবে কাজ না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।