ভদ্রলোক বলে কথা!

সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সোজা দোকানের সামনে থামলেন ভদ্রলোক গোছের এক ক্রেতা। দরদাম ঠিক করে ছয় মণ পাটালি গুড় (খেজুরের রস দিয়ে তৈরি) নিলেন তিনি। দাম ১৮ হাজার টাকা। গুড় নিতে হবে ভুইয়াগাঁতী এলাকায়। তাই একটি অটোভ্যান ভাড়া করা হলো। ক্রেতা বললেন, সেখানে গুড়ের সঙ্গে বিক্রেতা যাবেন। এরপর সেখান থেকে দাম নিয়ে ফিরবেন। কিন্তু গুড় পৌঁছে দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার এক গুড় ব্যবসায়ী।

গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া বাজারের নূরুল আমীন নামের এক গুড় ব্যবসায়ীর দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ক্রেতার কথামতো ভুইয়াগাঁতী এলাকায় গুড় পৌঁছে দিতে গেলে ভুইয়াগাঁতী সেতুতে অটোভ্যান থামিয়ে অন্য একটি গাড়িতে গুড় তুলে নেন ওই ক্রেতা। দাম ভুইয়াগাঁতী বাজারে দেবে বলে তাঁকে তুলে নেন তাঁর অটোরিকশায়। সেখানে গিয়ে তাঁকে একটি দোকানে বসিয়ে রেখে লাপাত্তা হয়ে যান ক্রেতাবেশী লোকটি। অনেকক্ষণ বসে থাকার পরও তিনি ফিরে না আসায় ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ধানগড়া বাজারের ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, প্রতারকেরা এত বেশি ভদ্রলোক সেজে আসে যে তাদের কথায় সন্দেহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ধানগড়া হাটবাজারের ইজারাদার কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু লোক ধরা না পড়লে কিছু করার থাকে না। এ রকম প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।