খেলনা পিয়ানো, ডিভিডি প্লেয়ার ও ব্লেন্ডারের মতো বৈদ্যুতিক পণ্যের যন্ত্রাংশের মধ্যে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন দুবাই থেকে আসা এক যাত্রী। বাড়তি কৌশল হিসেবে এসব সোনার বারের বাইরে দেওয়া হয় রুপার প্রলেপ। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তারা এসব পণ্যের ভেতর থেকে ৪ কেজি ২৫৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছেন।
সোনা পাচারের ঘটনায় উড়োজাহাজের যাত্রী মো. শওকত আকবরকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হচ্ছে।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাস্টমস কমিশনারের কাছ থেকে গোপন সংবাদ পাওয়ার পর ওই যাত্রীকে তল্লাশি করা হয়। তাঁর ব্যাগ স্ক্যানে দেওয়ার পর সোনার বারের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর ফুট মেসেঞ্জার ও ব্লেন্ডারের মোটর খুলে ৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম গোলাকৃতির সোনার বার পাওয়া যায়। এ ছাড়া খেলনা পিয়ানো, ডিভিডি প্লেয়ারের অ্যাড পটার ও মোবাইলের ভেতর থেকে ৮১৬ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়।
মাহবুবুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।