ছোট বোন পায়েল রংটার (২৪) বিয়ে সামনের মাসে। বিয়ের কেনাকাটা করতে বোনকে নিয়ে ভারতে গেছেন বিক্কী রংটা (২৮)। এ সময় বাড়ি থেকে তাঁদের মা-বাবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট শহরের মাড়োয়ারি পট্টি এলাকার বাড়ি থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন কৃষনা রংটা (৬০) ও তাঁর স্ত্রী দেবী রংটা (৫৪)। নিহত কৃষনা রংটা মাড়োয়ারি পট্টি এলাকার পায়েল বস্ত্রালয়ের মালিক।
পরিবার, স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাড়োয়ারি পট্টি এলাকায় নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন কৃষনা রংটা ও তাঁর স্ত্রী দেবী রংটা। বাড়িটি তাঁদের নিজের। দোতলায় তাঁরা থাকতেন এবং নিচতলায় তাঁদের দোকান। সকালে গৃহকর্মী রিতা উড়াও এসে দেখেন কৃষনা রংটা ও দেবী রংটার নিথর দেহ বিছানায় লেপ দিয়ে ঢাকা। পরে আশপাশের লোকজন আসে। খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গৃহকর্মী রিতা উড়াও বলেন, সকালে এসে বাসার কলাপসিবল গেট খোলা দেখেন তিনি। দোতলায় গিয়ে থাকার ঘরের দরজাও খোলা পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি চমকে যান। একপর্যায়ে বিছানার লেপ উল্টিয়ে দেখেন দুজনের লাশ পড়ে আছে।
নিহত কৃষনা রংটার চাচাতো ভাই গোপাল রংটা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পায়েল ও বিক্কীর আর কোনো ভাইবোন নেই। আগামী ১৭ জানুয়ারি পায়েলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এ জন্য পায়েল ও তাঁর ভাই বিক্কী বিয়ের শপিং করতে গেছে ভারতে। এরই মধ্যে তাঁদের বাবা-মায়ের লাশ উদ্ধার হলো। আমার জানামতে, ওদের কোনো শক্র নেই, তবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটে গেল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’ বাড়ির কোনো মালামাল লুট কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, প্রাথমিকভাবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, ওই দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আসল বিষয় জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।