মাত্র নয় দিন আগে বিয়ে হয়েছিল। এখনো হাতের মেহেদির রং তাজা। এরই মধ্যে চামেলী আক্তারকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। তবে চামেলীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে, হত্যা না আত্মহত্যা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের হাটভরতখালী গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গত ২৫ জানুয়ারি হাটভরতখালী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের টেপাপদুমশহর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে চামেলীর বিয়ে হয়। আজ ভোররাতে সুজনের পরিবারের লোকজন ফোন দিয়ে চামেলীর অসুস্থতার কথা জানান। পরে চামেলীর বাড়ির লোকজন ভোররাতেই সুজনের বাড়িতে যান। তাঁরা সুজনের শয়নকক্ষের খাটের ওপর চামেলীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় সুজন মিয়া ও তার বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
শনিবার দুপুরে সুজন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সুজন জানান, ‘কীভাবে মারা গেছে, আমি জানি না।’
চামেলীর বাবা মোস্তফা মিয়ার অভিযোগ, ‘আমার মেয়ের হাতের মেহেদির রং এখনো শুকায়নি। বিয়ের নয় দিনের মাথায় আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান মুঠোফোনে বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা জানা যাবে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।