কুমিল্লায় এক যুবককে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে ও বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরের আদালত এলাকায় সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চেম্বারে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান ওরফে সবুজ (২৮)। তিনি জেলার বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, মেহেদীর সঙ্গে দেবীদ্বার উপজেলার এক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। নয় মাস আগে তাঁরা বিয়ে করেন। এ বিয়েতে মেহেদীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি ছিলেন না। বিয়ের পর থেকে সম্পর্ক ভাঙার জন্য তাঁরা নানা চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মেহেদীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এতেও কাজ না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুড়িচং থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে মেহেদী ও তাঁর স্ত্রী আলাদা হয়ে যান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য উভয় পক্ষের লোকজন গত সোমবার বিকেল চারটায় কুমিল্লার সাবেক পিপি মো. মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চেম্বারে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মেহেদীর চাচা মো. সুলতান মিয়া বলেন, সালিস বৈঠকের একপর্যায়ে সাবেক পিপিসহ সালিসে অংশ নেওয়া অন্তত ১০ জন মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। তখন তিনিসহ (সুলতান) আরও কয়েকজন বাইরে আসেন। তখন পিপির চেম্বারের ভেতরে মেয়ের বাবা, ভাই, চাচা ও অপরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে মেহেদী কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা মেহেদীকে মারধর করে বাথরুমে নিয়ে যান এবং মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে দেন। এ সময় মেহেদী চিৎকার করলে তাঁরা কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মেয়ের বাবার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সামসুদ্দিন গতকাল বিকেলে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।