দিনাজপুরের বিরামপুরে এক তরুণীকে (২২) গণধর্ষণের ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফিরোজ হোসেনকে রোববার বিকেলে দিনাজপুর আমলি আদালত-৬-এ তুললে জ্যেষ্ঠ বিচারক শিশির কুমার বসু কারাগারে পঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ফিরোজ হোসেন পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে পাঁচজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রোববার দুপুরে তিনিসহ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণীকে দেখতে যান। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই তরুণীকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়াও আইনিসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মহিলা পরিষদ দিনাজপুর শাখার সভাপতি কানিজ রহমান জানান, মহিলা পরিষদের একটি দল ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে রোববার দিনাজপুর পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে।
বিরামপুর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বাকি চার আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
বিরামপুর থানায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ওই তরুণী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার হাত বাঁধা। পরে আমি কোনো রকমে বাঁধন খুলে নানা বাড়িতে যাই।’ তিনি জানান, বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে নানির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত পাঁচজন তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী তরুণী আরও জানান, তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।