হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও নতুন ধরনের মাদক ‘খাতের’ চালান ধরা পড়েছে। আজ শনিবার সকালে বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিসে ৮৬৮ কেজি খাত জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ টিম ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই)।
ঢাকা কাস্টম হাউসের উপপরিচালক অথেলো চৌধুরী বলেন, মাদকের এই চালান ভারত থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআইয়ের সহযোগিতায় ওই ফ্লাইটে করে আসা ৪৯টি কার্টন জব্দ করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের উপস্থিতিতে কার্টনগুলো খোলা হয়। যাচাই করে দেখা যায় গ্রিন টির মতো দেখতে এগুলো নতুন ধরনের মাদক ‘খাত’ বা এনপিএসের। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবার তেসফায়ে আসিফা নামে এক ব্যক্তি খাতের চালানটির রপ্তানিকারক। এটি বাংলাদেশে রপ্তানি করে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার এশা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে খাতের সপ্তম চালান আটকের ঘটনা ঘটেছে। পরে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে খাতের চালানটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এবারের চালানটি আফ্রিকা থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
গত ৩১ আগস্ট শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রথমবারের মতো ৪৬৭ কেজি খাতের চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজিমউদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন নাজিমউদ্দিনের শান্তিনগরের কার্যালয় থেকে আরও ৩৯৪ কেজি খাত জব্দ করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, খাত অনেকটা চা-পাতার গুঁড়োর মতো দেখতে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়। এর প্রতিক্রিয়া অনেকটা ইয়াবার মতো। একধরনের গাছ থেকে এই খাত বা এনপিএস তৈরি হয়। এটি ‘খ’ ক্যাটাগরির মাদক। আফ্রিকার দেশ জিবুতি, কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেনে ওই গাছ পাওয়া যায়।