চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামানের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। সোমবার রাত নয়টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বহরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হন অন্তত আটজন।
সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শরীফুজ্জামান এ অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান হান্নান ওরফে হাট হান্নানের নেতৃত্বে তিন শতাধিক লোক পরিকল্পিতভাবে ওই হামলা চালায়। শরীফ ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের প্রতি আহ্বান জানান।
তবে হান্নান তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিএনপি প্রার্থীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষ্য, ঘটনার সময় তিনি এলাকাতেই ছিলেন না। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীর লোকেরা মুন্সীগঞ্জ পশুহাটে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ছবি ভাঙচুর করলে সেখানে উপস্থিত দলীয় লোকজন গাড়িবহরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মজিবুল হক মালিক ও খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শরীফুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলার ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে জানিয়েছে। উভয় কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান বা তাঁর পক্ষে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে লোকমুখে গোলযোগের খবর পেয়ে পরিদর্শককে (তদন্ত) সরেজমিনে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুরের সত্যতা পেয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে জানান, শরীফুজ্জামান মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত করেছেন। তাঁকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।