মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ মঙ্গলবার বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দুই ছাত্রী ও এক কিশোর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজীব মাহমুদ পৃথক দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এদিকে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার দায়ে বর ও কনের অভিভাবকদের কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ জেলা সদরের একটি গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ওই এলাকার এক কিশোরের বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে আজ দুপুরে বর ও কনের বাড়িতে যান উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজীব মাহমুদ। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনে ও বরের অভিভাবকদের কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন। বরের বাবা প্রবাসী হওয়ায় মাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর কনের বাবাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে আজ বিকেলে জেলা সদরের খাবাশপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন অভিভাবকেরা। খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী রাজীব মাহমুদ। এ সময় বাল্যাবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে ৩০ হাজার টাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বরের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আলী রাজীব মাহমুদ বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। সামাজিক এই ব্যাধি নিরোধে সবার সচেতন হওয়া জরুরি।